সাদ্দাম হোসেন শুভ:- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন পাগলা পশ্চিম নয়ামাটি এলাকার মিল্কীর ছেলে জিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় ১০/১২ বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপর সাড়ে ১২ টার সময় ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে নয়ামাটি এলাকার সেলিমের স্ত্রী তানিয়া বেগম, নির্ঝর-২ গার্মেন্টসের পিএম মনোয়ার, গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের জায়গার মালিক মিল্কীর ছেলে জিয়া (৩৫), কাউসার, মোঃ শহিদ সহ আরো ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হামলার শিকার ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নির্ঝর-২ গার্মেন্টস এর শ্রমিক জিহাদ কয়েক দিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় তাকে উপরোক্ত বিবাদীরা বর্ণিত গার্মেন্টসের ভিতরে আটক করিয়া মারধর করে। উক্ত বিষয়ে জিহাদ বাদীর স্বামীসহ এলাকার গণ্যমান্য মুরুব্বিদের নিকট নালিশ করে।
পরে এলাকার কিছুসংখ্যক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এহেন কর্মকান্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাস করিলে বিবাদীরা কোনো সদুত্তর না দিয়ে উল্টা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার লোকজনদের লাঞ্চিত করে তাড়িয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর জিয়া ও তার ২৫/৩০ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন সাথে নিয়ে ধারালো অস্ত্র, রাম দা, চাপাতি, ছুরি, ও লোহার রড লইয়া বেআইনী জনতাবন্ধে সংঘবদ্ধ হয়ে অনাধিকার ভাবে বাড়ীতে প্রবেশ করে ঘরে এলোপাথারী ভাংচুর করে। এতে করে প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে তারা।
তাদেরকে বাদী তানিয়া বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা তাকেও এলোপাথারী মারধর করে নীলা-ফুলা জখম করে। এসময় তানিয়ার কোলে ২বছর বয়সী পুত্র সন্তান মোঃ তাহসিমকে মায়ের কোল থেকে কারিয়া নিয়ে ঘরের ফ্লোরে আছাড় মারিয়া মাথায় গুরুতর জখম করে। তার ওয়ার্ডড্রপে থাকা নগত ১৭ হাজার টাকা, ১ভরি ওজনের স্বর্নালংকার নিয়া যায়। জিয়ার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার সময় আরো ১০/১২ বাড়ী দরজা-জানালা পিটাইয়া ভাংচুর করে চলে যায় তারা।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক কাসেম জানান, ঘটনার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।